জাতীয় বায়োটেকনোলজি থিসিস উপস্থাপন প্রতিযোগিতার ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

‘নেটওয়ার্ক অফ ইয়ং বায়োটেকনোলজিস্টস অফ বাংলাদেশ’ প্রথমবারের মত আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ জাতীয় জীবপ্রযুক্তি থিসিস উপস্থাপন প্রতিযোগিতা -২০২৪’। শুক্রবার কেন্দ্রীয় কচি কাচার মিলনায়তনে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব হয়। উল্লেখ্য যে এর আগে বাংলাদেশের ২৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক পর্বে তাদের স্নাতকোত্তরের জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক থিসিস গবেষণা উপস্থাপনার করে। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বে সেরা ৭ জন প্রতিযোগী তাদের থিসিস উপস্থাপন করেন। এখানে ক্যান্সার রোগ নির্ণয়ের নতুন পদ্ধতি, অটিজম শনাক্তকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, মশক নিধন, কারখানার রংয়ের উৎপাদনে, ডায়রিয়া, খাদ্যদূষণ ও খাদ্যনিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে জীবপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে তাদের থিসিস উপস্থাপনা করে আহমেদ জুবায়ের (খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়), সাইফুল্লাহ জামিল (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), মোহাম্মদ আল বিরুনী (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), তানজিন বরকতউল্লাহ (সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), সানবিন সামিন (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), মো: ইমতিয়াজ (যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়) এবং মাহমুদা হক (ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়)।

উক্ত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আইসিসিডিডিআরবির স্বনামধন্য বিজ্ঞানী এবং ওয়ান হেলথ গবেষণাগারের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল এবং জীবপ্রযুক্তির চেয়ারম্যান ড. মো: রেজাউল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তির শিক্ষক ড. মিরাজ কোবাদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তির শিক্ষক ড. আদনান মান্নান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তির শিক্ষক ড. মো: জাহিদ হাসান এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ড. হামিদ হোসেন। নির্দেশনায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জিনবিজ্ঞানী ডঃ আবুদুল মহিন সজীব এবং ইখতিয়ার জাহিদ। উক্ত প্রতিযোগিতায় জিন প্রকৌশল ব্যবহারে অটিজম রোগ নির্ণয়ের থিসিস উপস্থাপন করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে “মুনিরা বকুল বেস্ট প্রেজেন্টেশন এওয়ার্ড” পায় মোহাম্মদ আল বিরুনী। এছাড়া মশক নিধনের নতুন প্রযুক্তি রানার্সআপ হয় তানজিন বরকতউল্লাহ। তৃতীয় স্থান পায় আহমেদ জুবায়ের। উল্লেখ্য; আল বেরুনির সুপারভাইজার ছিলেন জেনেটিক ইঞ্জিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. লুলু ওয়াল মারজান।

আয়োজনে সহযোগিতায় ছিল ডিজিজ বায়োলজি এন্ড মলিকিউলার এপিডারমিওলজি রিসার্চ গ্রুপ, চট্টগ্রাম এবং ক্যান্সার কেয়ার এন্ড রিসার্চ ট্রাস্ট বাংলাদেশ (সিসিআরটি)।

Scroll to Top